২০ মে ২০২৪, ০৮:২৮ অপরাহ্ন, ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, সোমবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বিএনপি নেতার গেটে সাইনবোর্ড ‘ভোট চাহিয়া লজ্জা দেবেন না প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া, পুলিশ সদস্য আটক ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে: প্রধানমন্ত্রী ইরানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, প্রেসিডেন্ট রাইসির লাশ উদ্ধার বানারীপাড়ায় শিক্ষাই শক্তি সংগঠনের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা সুন্দরগঞ্জে ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ভাটা বন্ধের নির্দেশ নির্বাচন এলে ধর্মের দোহাই দিয়ে ধুমকেতুর মতো যাদের আগমন ঘটে তাদের সর্বত্র বর্জন করুন অভিনেত্রীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে স্বামীর আত্মহত্যা চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান সুন্দরগঞ্জে বাধার মুখে মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ
বাবা আমার ছেলে সন্তান নাই ছোট মেয়ের সামান্য আয়ে চলে না আমাদের সংসার এক মা বাবার আকুতি

বাবা আমার ছেলে সন্তান নাই ছোট মেয়ের সামান্য আয়ে চলে না আমাদের সংসার এক মা বাবার আকুতি

মোঃ মনির হোসেন ঝালকাঠি :উপার্জনের কেউ না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন অসুস্থ বৃদ্ধ দম্পতির শফিজ উদ্দিন (৬৩) ও রিজিয়া বেগম (৫০) দম্পত্তির পাঁচ মেয়ে। চার মেয়ের বিয়ে হওয়ায় ছোট মেয়ে নিয়ে কোন রকম জীবনযাপন করছেন ।ছোট মেয়ে বরিশাল অপসোনিন ফার্মা লিমিটেডে সপ্তাহে ১৮শত টাকায় চাকরি করেন।ঘরটি জরাজীর্ণ হওয়ায় ঋণ নিয়ে মেরামত করায় সপ্তাহে যা আয় হয় তা ঋণের টাকা শোধ করতে হয়। তাই এ বৃদ্ধ বয়সে প্রায় দিনই চুলা জ্বলে না তাদের। সেখানে আশপাশের লোকজন কিছু খাবার দিয়ে যান, তা খেয়েই জীবন বাঁচাচ্ছেন তারা। এভাবেই মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তারা। এমন ঘটনা ঘটেছে ঝালকাঠির জেলার নলছিটি পৌরসভার ৮ ওয়ার্ডের ভাংগাদেউলা গ্রামে।

শফিজ উদ্দিন ছিলেন একজন শ্রমিক। একসময় সুখে শান্তিতে কাটছিল তাদের জীবন। পরে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় দিন পার করছেন তিনি।তার স্ত্রী রিজিয়া বেগম তিনিও বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। হাঠাৎ করে অসহায় হয়ে পড়ে বৃদ্ধ এই দম্পতি। মেয়েদের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় বা মাকে সাহায্য করতে পারছেন না। তাই বর্তমানে মানবেতর জীবন কাটছে তাদের।

বৃদ্ধ এই দম্পতি কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘বাবা আমাগো ছেলে সন্তান নাই। চার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে ছোট মেয়ে যা আয় করে তা দিয়ে আমাদের সংসার চলে না। আমরা বৃদ্ধ এই বয়সে কিছু করতে পারছি না। আমরা কেউ কোন ভাতা পাচ্ছি না। একটা টিসিবির কার্ড করে দিয়েছে কিন্তু টাকা না থাকায় মালামাল কিনতে পারিনি। আজকে যে রান্না করবো ঘরে চাউল নাই। আশপাশের কিছু ভালো মানুষ আছে তারা আমাগোরে খাওন দিয়া যায়, আমরা হেইয়া খাইয়া থাহি। আল্লায় যেন এই জীবন থাইকা আমাগোরে মুক্তি দেন। শেষ জীবনে যাতে একটু নামাজ রোজা কইরা মরতে পারি হেইডাই চাই।’

এ বিষয়ে ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লাভলু বলেন, এ রকম অসহায় লোক আছে সেটা আমার জানা নাই। তবে যদি টিসিবির কার্ড না পেয়ে থাকে আমার সাথে যোগাযোগ করতে বলবেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019